NATIONAL SAVINGS DIVISIONAL OFFICE, RAJSHAHI
NATIONAL SAVINGS DIVISIONAL OFFICE, RAJSHAHI
“ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালু কণা, বিন্দু বিন্দু জল,
গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল”
[সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের একটি সফল কাহিনী]
গ্রামটির নাম হরিনাথপুর। পাবনা জেলাধীন বেড়া উপজেলার যমুনা নদীর পাড়ের গ্রাম এটি। এ গ্রামেরই বাসিন্দা বিকাশ কুমার কুন্ডু। দু’টি ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ছোট্ট সংসার তার। বাবাকে হারিয়েছেন ৭/৮ বছর আগে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরেই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিম্ন মাধ্যমিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে সন্তান দু’টি যাতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে- এমন অদম্য ইচ্ছা উভয়েই পোষণ করেন।
ইচ্ছা শক্তির বাস্তবায়নের বিষয়টি আর্থিক সামর্থ্যের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। পেশায় বিকাশ চন্দ্র কুন্ডু একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ছোট্ট একটি খাবারের দোকানের মালিক তিনি। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দোকান করে যে আয় হয়- তা দিয়ে একদিকে যেমন সাংসারিক ব্যয় নির্বাহ করেন, অন্যদিকে প্রতিদিনের আয় থেকে কিছু সঞ্চয়ও করতে থাকেন। তাছাড়া বাবা মারা যাওয়ার পর উত্তরাধিকার সূত্রে সামান্য কিছু অর্থ সম্পদও তার হাতে আসে। বাবার রেখে যাওয়া অর্থের সাথে নিজের উপার্জিত সঞ্চিত অর্থ মিলিয়ে প্রথমে ১(এক) লক্ষ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন স্ত্রীর নামে । স্ত্রী সুমী রানী কুন্ডুও স্বামীর ন্যায় হিসেবী এবং মিতব্যয়ী। সঞ্চয়পত্রের মাসিক মুনাফা দিয়ে পরিচালনা করেন স্থানীয় ব্যাংকের ডিপিএস হিসাব। মুনাফার কিছু অংশ আবার ক্ষুদ্র ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করেন তারা। এভাবে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ডিপিএস এর অর্থ এবং ব্যবসা থেকে সঞ্চিত অর্থ দ্বারা বিভিন্ন মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে থাকেন। এখন তাদের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমান ৫(পাঁচ) লক্ষাধিক টাকা। বিকাশ চন্দ্র কুন্ডু এবং স্ত্রী- তারা উভয়ই মনে করেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ অপেক্ষাকৃত লাভজনক এবং নিরাপদ। তারা মনে করেন প্রত্যেকেরই অপচয় না করে প্রতিটি মূহুর্ত হিসেব করে চলা উচিত এবং প্রতিনিয়তই তারা প্রতিবেশীদেরকেও সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করে থাকেন। ইতোমধ্যে অবশ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকেই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছন। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নিজ গ্রামের উল্লেখযোগ্য প্রতিবেশিদের মধ্যে আছেন অনিল কুন্ডু, স্পন হালদার এবং গোপেন দাস(সাধু), তৌহিদা বেগম ও হাফিজা বেগম।
স্থানীয় পুরান ভারেঙ্গা পোস্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, এলাকার স্বল্প আয়ের অনেক মানুষই সঞ্চয়পত্র ক্রয় করছেন। সহ্চয়পত্রের মুনাফা কেউবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করছেন, কেউবা আবার সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মিটাচ্ছেন- যেমনটি করেছেন বিকাশ চন্দ্র কুন্ডু ও তার স্ত্রী। এখন তাদের বড় ছেলে নবম শ্রেণীতে এবং ছোটটি চতুর্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে। নিরাপদ এবং স্বাচ্চন্দেই চলছে তাদের ছোট্ট সংসার। বিকাশ চন্দ্র ও তার স্ত্রী সুমী রানীর দৃঢ় বিশ্বাস, তাদের এবং তাদের মতো ক্ষুদ্র আয়ের অনেকেরই ভাগ্যের অনুকুল পরিবর্তন ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সরকারের জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS